জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষ হয়েছে ১-১ সমতায়। তবে সিরিজ হার এড়ানোর পাশাপাশি ব্যাট-বলে দারুণ পারফরম্যান্সে র্যাঙ্কিংয়েও ভালো খবর পেয়েছে বাংলাদেশ দল। ব্যক্তিগত অর্জনের দিক থেকে নজর কেড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলী ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
সিরিজসেরা পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল ছিলেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই ম্যাচে ১৫ উইকেট শিকার ও একটি সেঞ্চুরির সুবাদে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে ৪ ধাপ এগিয়ে এসেছেন ২৬তম স্থানে। অলরাউন্ডারদের তালিকায়ও বড় লাফ দিয়ে উঠে এসেছেন ৩ নম্বরে—এই তালিকায় এখন বাংলাদেশের দুই প্রতিনিধি মিরাজ ও মাঠের বাইরে থাকা সাকিব আল হাসান (শীর্ষ পাঁচে অবস্থান ধরে রেখেছেন)।
অধিনায়ক শান্ত ব্যাট হাতে দারুণ দায়িত্বশীলতা দেখিয়েছেন। তার ধারাবাহিকতার পুরস্কার মিলেছে র্যাঙ্কিংয়েও—৪ ধাপ এগিয়ে এখন তিনি ৫৩তম।
প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ খেলা উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের আলী নজর কেড়েছেন ব্যাট হাতে। দুই টেস্টেই রেখেছেন কার্যকরী অবদান। ফলাফল হিসেবে র্যাঙ্কিংয়ে ১০ ধাপ এগিয়ে ৫০তম স্থানে উঠে এসেছেন যা তার ক্যারিয়ার সেরা।
অভিজ্ঞ মুমিনুল হকও রেখেছেন দৃঢ়তার ছাপ। দুটো কার্যকরী ইনিংস খেলে র্যাঙ্কিংয়ে ৫ ধাপ এগিয়ে এসেছেন ৪৮ নম্বরে। তবে অফফর্মে থাকা মুশফিকুর রহিম পিছিয়েছেন ৮ ধাপ, বর্তমানে অবস্থান করছেন ৪০তম স্থানে।
সিরিজে না খেললেও বাংলাদেশের মধ্যে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটারদের মধ্যে এখনো সবচেয়ে এগিয়ে আছেন লিটন দাস যদিও তিনি এক ধাপ পিছিয়ে যৌথভাবে এখন ৩৭তম।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবার ওপরে আছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম (২৩তম)। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ (২৬তম)। ইনজুরির কারণে বাইরে থাকা তাসকিন আহমেদ রয়েছেন ৫১তম স্থানে। অন্যদিকে অভিষেকেই দারুণ আলো ছড়ানো নাহিদ রানা উঠে এসেছেন ৬৮তম স্থানে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে বাংলাদেশের দলীয় পারফরম্যান্স মাঝারি হলেও র্যাঙ্কিং তালিকায় ব্যক্তিগত উন্নতির চিত্র কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে।
ইউএ / টিডিএস