চলতি আইপিএল মৌসুমটা একেবারেই ভুলে যেতে চাইবেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৭ ম্যাচে মাত্র ৪৮ রান, গড় ৮ আর স্ট্রাইকরেট ৯৭.৯৫—সব মিলিয়ে বিবর্ণ পারফরম্যান্স। এতটা খারাপ ফর্মেও পাঞ্জাব কিংসের কোচ রিকি পন্টিং তাঁকে দলে রাখায় সমালোচনাও হয়েছে। তবে এবার আর সেই বিতর্কে জড়াতে হচ্ছে না তাঁকে—চোটের কারণে ছিটকে গেছেন টুর্নামেন্ট থেকে। তাঁর জায়গায় পাঞ্জাব দলে জায়গা পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার মিচেল ওয়েন, যিনি কিছুদিন আগেও পিএসএলে ছিলেন ‘বদলি খেলোয়াড়’ হিসেবে।
এই বদলি নিয়েই গল্প আরও জমজমাট। মিচেল ওয়েন খেলছিলেন পিএসএলে, যেখানে তিনি সুযোগ পান করবিন বশের জায়গায়। বশকে পেশোয়ার জালমি দলে নেয় ড্রাফট থেকে, কিন্তু পরবর্তীতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে সুযোগ পেয়ে আইপিএলের ডাক সাড়া দেন তিনি—চুক্তি থাকা সত্ত্বেও পিএসএল ছেড়ে দেন। ভবিষ্যতের সম্ভাবনা বিবেচনায় আইপিএলকে বেছে নেওয়া বশের এমন সিদ্ধান্ত ভালোভাবে নেয়নি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। চুক্তি ভাঙার দায়ে তাকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয় এবং পরে এক বছরের নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়।
বশের জায়গায় দলে জায়গা পান মিচেল ওয়েন। যদিও পিএসএলে তার পারফরম্যান্স খুব একটা নজরকাড়া নয়—৬ ইনিংসে ১৬.৮৩ গড়ে করেছেন ১০১ রান, স্ট্রাইকরেট ১৯৮। তবে তাসমানিয়ার এই ব্যাটার নজর কাড়েন বিগ ব্যাশ লিগে, যেখানে ফাইনালে হোবার্ট হারিকেন্সের হয়ে মাত্র ৪২ বলে ১০৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন, যা বিগ ব্যাশ ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরির তালিকায় অন্যতম।
ওয়েনকে আইপিএলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রিকি পন্টিং নিজেই। পিএসএলে তিনি পেয়েছিলেন ৩ কোটি রুপির চুক্তি, এবার সুযোগ পেলেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। তবে প্রশ্ন উঠেছে—তিনি কি বশের মতো পিএসএলের মাঝপথে বিদ্রোহ করে আইপিএলে খেলতে যাবেন?
এ বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য দিয়েছে ইএসপিএনক্রিকইনফো। তাদের মতে, চলতি পিএসএল শেষ হবে ১৮ মে, এবং পেশোয়ার এখনও শিরোপার দৌড়ে টিকে আছে। অন্যদিকে, আইপিএলের লিগপর্ব শেষ হবে ১৬ মে, এবং পাঞ্জাব কিংসও রয়েছে প্লে-অফের দৌড়ে। অর্থাৎ, পিএসএল শেষ হলেই ওয়েন আইপিএলে যোগ দিতে পারবেন এবং প্লে-অফে পাঞ্জাবের হয়ে অভিষেক হওয়ার সুযোগও আছে।