ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এক ম্যাচ ঘিরে তৈরি হওয়া ফিক্সিংয়ের সন্দেহের ঘটনায় কড়া বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদ।
ঘরোয়া ক্রিকেটে যেখানে প্রতিভা খোঁজার লক্ষ্য নিয়ে দলগুলো মাঠে নামে সেখানে এমন অভিযোগে বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন—প্রমাণ মিললে উদাহরণ তৈরি করেই কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
ঘটনার সূত্রপাত ৯ এপ্রিল, গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচে। সেই ম্যাচে শাইনপুকুরের দুই ব্যাটার—রহিম আহমেদ ও মিনহাজুল আবেদীন সাব্বিরের বিতর্কিত আউট সন্দেহের জন্ম দেয়। বিষয়টি নজরে পড়ে বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটের। এরপরই শুরু হয় তদন্ত।
সভাপতি ফারুক আহমেদ নিজেও ঘটনাটি ঘিরে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, ‘পাতানো খেলাটা দ্বিতীয় বা তৃতীয় ডিভিশনে অনেক কমেছে কিন্তু একেবারে বন্ধ হয়নি। পাতানো খেলা হলে আপনি কোনোদিন ভালো ক্রিকেটার পাবেন না। আপনার সেরা ব্যাটারকে আপনি বলবেন ডাক মেরে আউট হতে সেরা বোলারকে বলবেন নো বা ওয়াইড দিতে-এটা আসলে খেলা না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের টেকনিক্যাল কমিটি আছে। আমি মাত্র দায়িত্ব নিয়েছি কয়েকদিন হলো এর মধ্যেই আমরা তদন্তে নেমেছি। কিছু পেলে অবশ্যই শাস্তির ব্যবস্থা করব। এটা উদাহরণ তৈরি করার মতোই বিষয়।’
গত ১১ এপ্রিল বিসিবির তদন্তের অংশ হিসেবে বিতর্কিত দুই ক্রিকেটার রহিম আহমেদ ও মিনহাজুল আবেদীন সাব্বিরকে ডাকা হয়। মিরপুরের একাডেমি মাঠে সেই ম্যাচের বিতর্কিত আউটের ‘রিহার্সাল’ করতে বলা হয় তাদের—যেখানে পরীক্ষা করা হয় বলের গতি, ব্যাটারের প্রতিক্রিয়া এবং উইকেটকিপারের ভূমিকা কতটা স্বাভাবিক ছিল। উইকেটের দুই পাশে বসানো দুটি ক্যামেরায় পুরো রিহার্সাল ধারণ করে বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিট।
ইউএ / টিডিএস