আমরা জানতাম চট্টগ্রামে ঘুরে দাঁড়াতে পারবঃ শান্ত

সিলেটের হতাশা ঝেড়ে ফেলে চট্টগ্রামে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। ইনিংস ও ১০৬ রানের বিশাল ব্যবধানে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ এ সমতায় শেষ করলো বাংলাদেশ।

চট্টগ্রাম টেস্টে সব বিভাগে দাপট দেখিয়ে জয় তুলে নেয় টাইগাররা। প্রথম টেস্টে ৩ উইকেটে হেরে সমালোচনার মুখে পড়া দলটি এই জয়ে পুনরায় আত্মবিশ্বাস ফিরে পায়।

ম্যাচ শেষে দলের সম্মিলিত পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি বলেন, “পুরো দল অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে। প্রস্তুতিতে সবাই মনোযোগী ছিল। তবে আমাদের আরও ধারাবাহিক হতে হবে।”

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৪৪৪ রানের বিশাল স্কোর গড়ে। উদ্বোধনী জুটিতে দীর্ঘদিন পর শতরানের দেখা মেলে—সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয় গড়েন ১১৮ রানের জুটি। বিজয় আউট হন ৩৯ রানে, তবে তিন বছর পর টেস্টে ফিরে সাদমান তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত করেন ১২০ রান।

মিডল অর্ডারে কেউ বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও সপ্তম নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ঝলসে ওঠেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ১০৪ রানের ইনিংসে দলকে নিয়ে যান বড় সংগ্রহের পথে। প্রথম ইনিংসেই বাংলাদেশ পায় ২১৭ রানের লিড।

জবাবে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস থেমে যায় ২২৭ রানে। উইকেট শূন্য থাকলেও বল হাতে নেতৃত্ব দেন বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ৬ উইকেট নেন মাত্র ৬০ রানে।

দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং ছিল আরও বিপর্যস্ত। পুরো দল গুটিয়ে যায় মাত্র ১১১ রানে। এবার আঘাত হানেন মিরাজ—৩২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে অল-রাউন্ড নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন তিনি। পুরো ম্যাচে ব্যাটে ও বলে জ্বলে উঠা মিরাজ এর আগে প্রথম টেস্টেও নিয়েছিলেন ১০ উইকেট।

এই জয়ের মাধ্যমে টেস্ট র‌্যাংকিংয়ে নিচের সারিতে থাকা জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ হার এড়াল বাংলাদেশ। এখন শান্তর মূল লক্ষ্য—এই পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা।

ইউএ / টিডিএস

You may also like