বিতর্কের ভয়ে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াল হৃদয়?

নাজমুল হোসেন শান্ত যে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বে আর থাকছেন না সেটা আগেই জানা গিয়েছিল। তাঁর জায়গায় নতুন অধিনায়ক হিসেবে বোর্ডের প্রথম পছন্দ ছিল লিটন দাস। বিকল্প হিসেবে আলোচনায় ছিলেন তাওহীদ হৃদয়।

রবিবার (৪ মে) সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ সামনে রেখে লিটন দাসকে অধিনায়ক ঘোষণা করেছে বিসিবি। কিন্তু আরও চমক ছিল সহ-অধিনায়ক নির্বাচন নিয়ে। লিটনের ডেপুটি হিসেবে শেখ মেহেদী হাসানের নাম ঘোষণা হতেই বিস্ময়ের সঞ্চার হয় সংবাদ সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে। অনেকে প্রত্যাশা করেছিলেন হৃদয়ের নাম।

ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম যখন বলেন, “মেহেদী অভিজ্ঞ এবং টি-টোয়েন্টি দলে অপরিহার্য তাই তাকে সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে,” তখনও অনেকের কৌতূহল কাটেনি।

এছাড়া দল নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন আছে। শান্ত টানা ১৮ ইনিংসে ফিফটি না পেয়েও দলে আছেন। বাদ পড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, ছেঁটে ফেলা হয়েছে নাসুম আহমেদকে। এসব নিয়ে মত দিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন ও খালেদ মাসুদ পাইলট।

সুজন বলেন, “শেখ মেহেদীর নেতৃত্ব আমি কখনও দেখিনি। ভবিষ্যতের জন্য কাউকে গড়ে তুলতে চাইলে তাওহীদ হৃদয়ই ভালো বিকল্প ছিল।” পাইলটও তার সঙ্গে সহমত, “হৃদয় টি-টোয়েন্টির প্রতিটি ম্যাচেই খেলবে। সব ধরনের কন্ডিশনে সে মানিয়ে নিতে পারে। সহ-অধিনায়ক হিসেবে তাকেই রাখা যেত।”

তবে হৃদয়ের নেতৃত্ব থেকে বাদ পড়ার পেছনে থাকতে পারে অন্য কারণ। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে একাধিকবার আচরণবিধি ভঙ্গ করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন এই তরুণ ক্রিকেটার। আম্পায়ারদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, সংবাদ সম্মেলনে হুমকির মতো মন্তব্য, ম্যাচ রেফারির সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ—সব মিলিয়ে পেয়েছেন নিষেধাজ্ঞা ও ডি-মেরিট পয়েন্ট। এই পরিস্থিতিতে বোর্ড হয়তো তাকে নেতৃত্বের আলো থেকে সরিয়ে রাখতে চেয়েছে।

ইউএ / টিডিএস

You may also like