ছয় বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে ফিরে জয় দিয়ে শুরু করা হলো না বার্সেলোনার। তবে ঘরের মাঠে দুর্দান্ত এক লড়াই উপহার দিয়েছে তারা। রোমাঞ্চে ভরপুর ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৩-৩ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে কাতালান ক্লাবটি ও ইন্টার মিলান।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাতে মন্তুজুইকে হওয়া সেমিফাইনালের প্রথম লেগে শুরু থেকেই দুই দল আক্রমণাত্মক খেলা উপহার দেয়। ম্যাচের মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই ইন্টারকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম, চমৎকার এক ব্যাকহিল শটে। ডেনজেল দামফ্রিসের ক্রস থেকে গোলটি আসে বার্সার রক্ষণভাগের অসাবধানতার সুযোগ নিয়ে।
২০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডামফ্রিস নিজেই। নিকোলো বারেল্লার হেড পাস থেকে দুর্দান্ত এক ভলিতে ইন্টারকে ২-০ তে এগিয়ে দেন তিনি। চাপে পড়েও হাল ছাড়েনি বার্সা।
২৪ মিনিটে লামিন ইয়ামাল অসাধারণ এক একক প্রচেষ্টায় গোল করে স্কোরলাইন কমান ২-১ এ। মাঝখানে তার আরেকটি শট লাগে ক্রসবারে, আর দানি ওলমোর প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন ইন্টার গোলরক্ষক ইয়ান সোমার। তবে ৩৪ মিনিটে বার্সেলোনা আবার জাল খুঁজে পায় — পেদ্রির ক্রস, রাফিনিয়ার হেড পাস আর ফেরান তোরেসের শেষ ছোঁয়ায় ম্যাচে ফেরে সমতা।
এই গোলে চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে রাফিনিয়ার সরাসরি অবদান দাঁড়ায় ২০ গোলে যা একটি ক্লাব রেকর্ড—পেছনে ফেলেছেন লিওনেল মেসিকেও।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ইন্টার কিছুটা প্রভাব বিস্তার করলেও ম্যাচের রাশ ধীরে ধীরে নিজেদের হাতে নেয় বার্সা। তবে ৬৩ মিনিটে কর্নার থেকে আবারও হেডে গোল করেন ডামফ্রিস ইন্টারকে ফের এগিয়ে দেন ৩-২ ব্যবধানে।
কিন্তু এক মিনিট পরেই পাল্টা জবাব দেয় বার্সেলোনা। কর্নার থেকে পাওয়া বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দূরপাল্লার শটে গোল করেন রাফিনিয়া—আবারও সমতা ৩-৩।
ইন্টার বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও প্রতি আক্রমণে বারবার ভয় ধরিয়ে দিয়েছে বার্সেলোনাকে। এমনকি ৭৫ মিনিটে চতুর্থবার বল জালে পাঠিয়েছিল তারা। যদিও হেনরিখ মিখিতারিয়ানের সেই গোলটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়।
শেষ দিকে আক্রমণের ঝড় তোলে বার্সা কিন্তু আর গোলের দেখা পায়নি। ক্রসবারও তাদের হতাশ করে।
শেষ পর্যন্ত দারুণ উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়। ফলে এই সেমিফাইনালের ভাগ্য গড়াবে মিলানে, সান সিরোর দ্বিতীয় লেগে।
ইউএ / টিডিএস