প্রথম কোনো ‘রোজাদার’ খেলোয়াড় হিসেবে তিনি স্পেন জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নামবেন।
ইতালির দলবদল বিষয়ক প্রখ্যাত সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো লিখেছেন, ‘লামিনে ইয়ামাল স্পেন জাতীয় দলের ইতিহাসে প্রথম কোনো ফুটবলার হিসেবে রামাদানের রোজা রেখে খেলবেন। মুসলিম ঐতিহ্য ও পরিবারের প্রতি সম্মান রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লামিনে।’
ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে আগামী ২১ ও ২৪ মার্চ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে যথাক্রমে হোম ও অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে স্পেন। এই ম্যাচগুলোতে স্প্যানিশ দলের অপরিহার্য সদস্য হিসেবে উপস্থিত থাকবেন লামিনে ইয়ামাল। স্পেনের সংবাদমাধ্যম রোজা রেখে কোনো স্প্যানিশ খেলোয়াড়ের ম্যাচে নামার বিষয়টিকে ‘মাইলফলক’ হিসেবে উল্লেখ করছে। এমনকি দলের অনুশীলন সেশনেও লামিনে ইয়ামালকে রোজার বিধান পালন করতে দেখা গেছে।
স্পেনে মুসলিম জনগণের সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ। রমজানে অন্যান্য দেশের ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মতো তারা ও পবিত্রতা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকেন। মুসলমানদের এই মহিমান্বিত মাসের শুরুতেই স্পেনসহ প্রায় সব ইউরোপীয় দেশের বড় ক্লাবগুলো স্বাগত জানিয়েছিল। লামিনে ইয়ামালের মতো ফুটবলারদের জন্য খেলার মধ্যে ইফতারের জন্য ছোট বিরতির ব্যবস্থা করা হয়। তবে এখনও নেশন্স লিগের ম্যাচে বিরতি দেওয়ার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
২০২৪ সালেও রমজানের সময় আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ছিল ইয়ামালের। সেই সময় ১৬ বছর বয়সী এই তারকা উইঙ্গার রোজা রেখে খেলেননি। লামিনে ইয়ামালের আগে অবশ্য স্প্যানিশ দলের কিছু খেলোয়াড় রোজা রেখে ম্যাচ খেলেছেন, তবে এবারই প্রথম কোনো জাতীয় দল সদস্য ধর্মীয় এই বিধি মেনে মাঠে নামছেন।
ইউএ / টিডিএস