উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে আর্সেনালের বিপক্ষে কখনো জয়ের মুখ না দেখা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) এবার অবশেষে সেই রেকর্ড বদলে ফেলেছে। ইংলিশ ক্লাবটির ঘরের মাঠ এমিরেটসে ১-০ ব্যবধানে জয় পেয়ে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো আর্সেনালকে হারাল ফরাসি জায়ান্টরা।
ম্যাচের একমাত্র এবং নির্ণায়ক গোলটি এসেছে উসমান দেম্বেলের পা থেকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগের চতুর্থ মিনিটেই কাভারৎসখেলিয়ার বাড়ানো পাস থেকে এক টাচে গোল করেন দেম্বেলে। বাঁ পায়ের শটে আর্সেনালের রক্ষণভাগ ভেদ করে বল জড়িয়ে যায় জালে।
প্রথমার্ধে পুরোপুরি দাপট দেখায় সফরকারী পিএসজি। বল দখল ও আক্রমণে এগিয়ে থাকা দলটি ৩১তম মিনিটে আবারও গোলের কাছাকাছি চলে যায় দেম্বেলের আরেকটি তীক্ষ্ণ শটে। যদিও আর্সেনালের গোলরক্ষক ডেভিড রায়া দারুণভাবে সেটি প্রতিহত করেন।
আর্সেনাল প্রথমার্ধের শেষ দিকে কিছুটা ছন্দ ফিরে পেলেও গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। ৩৭তম মিনিটে সবচেয়ে বড় সুযোগ পেয়েও ফাঁকা পোস্টে বল জড়াতে পারেননি মিকেল মেরিনো। বিরতির আগে গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লির শটও দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন পিএসজি গোলরক্ষক দোন্নারুমা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আর্সেনাল গোল করে সমতায় ফিরেছিল বলে মনে হলেও ডেকলান রাইসের ফ্রি-কিকে মেরিনোর হেড ভিএআরের মাধ্যমে অফসাইড ঘোষণা করে রেফারি। ৫৫ মিনিটে ট্রোসার্ডের শটও থামিয়ে দেন দোন্নারুমা, ফলে গোলের দেখা পায়নি গানাররা।
শেষ পর্যন্ত লুইস এনরিকের দল ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। এই জয়ের মাধ্যমে চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইংলিশ চার ক্লাব—ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল, অ্যাস্টন ভিলা এবং আর্সেনাল—সবকেই হারিয়েছে পিএসজি।
এই ম্যাচকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসের সবচেয়ে তরুণ নির্ভর সেমিফাইনাল হিসেবে উল্লেখ করেছেন ফুটবল ইতিহাসবিদ ম্যাট বার্টজ। একইসঙ্গে, ৫৮৩৮ দিন পর সেমিফাইনালে ফিরে আসা আর্সেনালের গল্পে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াল ফরাসি ক্লাবটি।
আগামী সপ্তাহে ফিরতি লেগ অনুষ্ঠিত হবে পিএসজির ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সে। সেখানেই নির্ধারিত হবে, কারা উঠছে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদার ফাইনালে।
ইউএ / টিডিএস
 
			         
														