লাল বল বা সাদা, সাদা জার্সি কিংবা রঙিন—মাঠ যেখানেই হোক না কেন জাসপ্রীত বুমরাহ যেন ব্যাটারদের জন্য এক স্থায়ী আতঙ্ক। দেশের মাঠ হোক বা বিদেশের সব ধরনের কন্ডিশনেই নিজের ভয়ংকর বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করছেন ভারতীয় এই পেসার।
দীর্ঘ সময় ধরে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা বুমরাহর প্রশংসায় এবার মুখর হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি উইকেটকিপার-ব্যাটার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। তার মতে বোলারদের দৃষ্টিকোণ থেকে বুমরাহ হচ্ছেন ‘স্যার ডন ব্র্যাডম্যান’-এর মতোই এক অনন্য নাম।
২০২৪ সালজুড়ে দারুণ ফর্মে ছিলেন বুমরাহ। এই সময়ে আইসিসি বর্ষসেরা ক্রিকেটার ও বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের খেতাবও নিজের করে নেন। বছরের শেষ দিকে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ভারতের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন তিনি। যদিও সিরিজের শেষ টেস্টে চোটের কারণে খেলতে পারেননি। তার আগে ৪ ম্যাচে নেন সর্বোচ্চ ৩২ উইকেট। ভারত সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে হারলেও সিরিজসেরা হন বুমরাহ।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইনজুরির কারণে অংশ নিতে পারেননি এই পেসার। আইপিএলের শুরুতেও কিছু ম্যাচে ছিলেন না মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে। তবে ফেরার পর চেনা রূপে দেখা দিয়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত আইপিএলের চলতি আসরে ৭ ম্যাচে নিয়েছেন ১১ উইকেট, বোলিং গড় ১৭.৭২ এবং ইকোনমি মাত্র ৬.৯৬—যা আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অসাধারণ এক পরিসংখ্যান।
তবে শুধু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নয় তার উপস্থিতি দলের ফলেও প্রভাব ফেলছে। বুমরাহ যেখানে খেলেছেন, সেই ৭ ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স জিতেছে ৬টিতে। আর তিনি অনুপস্থিত থাকলে ৪ ম্যাচে মাত্র ১টিতে জয় এসেছে। তার ফেরার পর দল উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজে আলোচনায় সব সংস্করণে বুমরাহর প্রভাব বোঝাতে সাবেক কিপার-ব্যাটসম্যান গিলক্রিস্ট ভারতীয় পেসারকে তুলনা করেন ডন ব্র্যাডম্যানের সঙ্গে যিনি সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে একরকম অবিসংবাদিত।
গিলক্রিস্ট বলেন, “সে সম্ভবত সর্বকালের সেরা বোলার, ফাস্ট বোলার। যখন পরিসংখ্যানে চোখ রাখবেন, দেখবেন কোন কোন পরিস্থিতিতে সে তার বোলিং দক্ষতা দেখিয়ে চলেছে, তখন তাকে মনে হবে ব্র্যাডম্যানের মতোই, যিনি অন্যদের তুলনায় অনেক এগিয়ে। ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশন ও পিচে যেভাবে সে বোলিং করে, তাতে বোঝা যায় আমরা সত্যিই বড় মাপের এক খেলোয়াড়কে দেখছি।”
ইউএ / টিডিএস