অবশেষে সাফল্যের হাসি হ্যারি কেইনের

দীর্ঘ ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে অনেক ব্যক্তিগত অর্জন সত্ত্বেও ট্রফিহীনতার হাহাকার নিয়েই পথ চলছিলেন হ্যারি কেইন। ক্লাব কিংবা জাতীয় দল—কোথাও কোনো প্রতিযোগিতার শিরোপা জিততে পারেননি ইংল্যান্ড অধিনায়ক। অবশেষে সেই আক্ষেপ ঘুচল। বায়ার্ন মিউনিখের জার্সিতে প্রথমবারের মতো ট্রফির স্বাদ পেলেন এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড।

বুন্দেসলিগায় লেভারকুসেন ফ্রাইবুর্গের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করলে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই চ্যাম্পিয়ন হয় বায়ার্ন। আর তাতেই কেইনের ক্যারিয়ারে যোগ হয় প্রথম শিরোপা।

তবে শিরোপা নিশ্চিতের দিন মাঠে থাকতে পারেননি কেইন। পাঁচটি হলুদ কার্ডের কারণে নিষিদ্ধ থাকায় লিপজিগের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলতে পারেননি তিনি। গ্যালারি থেকেই ম্যাচটি উপভোগ করেন এই ৩১ বছর বয়সী তারকা। পরে হাস্যরস করে বলেন, “এটাই বুঝি আমার ক্যারেক্টারের প্রতিচ্ছবি। তবে চিন্তা কোরো না আমি সবার চেয়ে জোরে উদযাপন করব!”

টটেনহামে কাটানো দীর্ঘ সময়ে চারবার শিরোপার দোরগোড়ায় গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছিল কেইনকে। তিনবার ফাইনাল হার এবং একবার লিগে রানার্সআপ হয়েছিলেন। জাতীয় দলের হয়েও ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে হেরে শিরোপা অধরাই থেকে যায়।

শিরোপার খোঁজেই দুই মৌসুম আগে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্নে যোগ দেন কেইন। তবে আগের মৌসুমেও ভাগ্য সহায় হয়নি। সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেও সে মৌসুমে ১১ বছর পর লিগ শিরোপা হাতছাড়া করে বায়ার্ন। ফলাফল—‘হ্যারি কেইন কার্স’ নিয়ে উঠেছিল নানা প্রশ্ন।

এবার অবশ্য মৌসুমজুড়েই দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে বায়ার্ন। শেষ ম্যাচে শিরোপা নিশ্চিত করার সুযোগ থাকলেও শেষ মুহূর্তের গোলে ড্র করে অপেক্ষা বাড়ে তাদের। কিন্তু লেভারকুসেন-পয়েন্ট খোয়ানোয় আর দেরি হয়নি।

এই শিরোপা বায়ার্ন মিউনিখের জার্মান লিগ ইতিহাসে রেকর্ড ৩৪তম। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নুমেনবার্গের শিরোপা মাত্র ৯টি—প্রমাণ করে বায়ার্নের একচ্ছত্র আধিপত্য।

আর কেইনের জন্য এটি শুধুই ট্রফি নয়—এটি বহুদিনের অপূর্ণ স্বপ্নপূরণের মুহূর্ত।

ইউএ / টিডিএস

You may also like