সব প্রক্রিয়া শেষ। সামিত সোম এখন আনুষ্ঠানিকভাবেই বাংলাদেশি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) হাতে পৌঁছে গেছে তার ই-পাসপোর্ট। তবে কানাডার প্রিমিয়ার লিগে কাভালরি এফসির হয়ে যখন তিনি শেষ ম্যাচ খেলেন, তখনও ছিলেন না বাংলাদেশের নাগরিক। অথচ ম্যাচটির স্বীকৃতি যখন পেলেন, তখন তিনি পুরোদস্তুর একজন বাংলাদেশি ফুটবলার।
সেই ম্যাচেই প্রথমবার অধিনায়কের আর্মব্যান্ড হাতে তুলে নিয়েছিলেন সামিত। মধ্যমাঠে গোল বা অ্যাসিস্ট না করলেও তার নেতৃত্ব আর নিয়ন্ত্রণই গড়ে দেয় কাভালরির জয়ভিত্তি। ইয়র্ক ইউনাইটেডের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পাওয়া ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সই তাকে তুলে এনেছে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সপ্তাহের সেরা একাদশে।
সামিত ছাড়াও কাভালরির আরও তিনজন জায়গা করে নিয়েছেন সেই একাদশে—দুই গোলদাতা টোবিয়াস ওয়ারচেস্কি ও ফ্রেজার এয়ার্ড এবং মিডফিল্ডে সামিতের সঙ্গী সার্জিও কামার্গো।
তবে দল হিসেবে কাভালরির অবস্থা খুব একটা সুবিধার নয়। আট দলের লিগে তারা রয়েছে ৫ নম্বরে। চার ম্যাচে জয় মাত্র একটিতে, এক ম্যাচ ড্র, বাকি দুটি হার। শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকো ওটোয়া ৫ ম্যাচে সংগ্রহ করেছে ১৩ পয়েন্ট।
অন্যদিকে মাঠের পাশাপাশি মাঠের বাইরেও সামিতের গত সপ্তাহটি ছিল সাফল্যময়। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাতে কানাডার টরন্টোতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কনস্যুলেটে পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন তিনি। মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই সম্পন্ন হয় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম, যা এখন বাফুফের হাতে।