ওয়ার্ন-রাবাদা, মাদক কেলেঙ্কারিতে ক্রিকেট

চোখে এখনও কিশোর বয়সের সারল্য, মাঠে বল হাতে ভয়ংকর আগ্রাসী কিন্তু সেলিব্রেশনে শান্ত কাগিসো রাবাদা। দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেসার এবার জড়িয়ে পড়েছেন মাদক কেলেঙ্কারিতে। আপাতত সাময়িক নিষেধাজ্ঞায় রয়েছেন তিনি। তবে আইসিসি বা দেশটির মাদকবিরোধী সংস্থার স্থায়ী শাস্তির অপেক্ষায়।

বিশ্ব ক্রিকেটে ‘ডোপ টেস্ট’ চালু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৪৪ জন ক্রিকেটার নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন। কারও উদ্দেশ্য ছিল শারীরিক শক্তি বাড়ানো, কেউবা ব্যথা কমাতে গোপনে ওষুধ নিয়েছিলেন। তবে শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য মাদক গ্রহণের ঘটনা তুলনামূলকভাবে বিরল। রাবাদা ঠিক কোন কারণ দেখিয়ে নিষিদ্ধ হয়েছেন সেটি এখনও স্পষ্ট নয়।

রাবাদা স্বীকার করেছেন নিজের ভুল। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি লিখেছেন, ‘আমি ভুল করেছি, দুঃখিত। ক্রিকেট শুধু আমার পেশা নয় এটি আমার জীবনের গর্ব ও ভালোবাসা। আমি আবার মাঠে ফেরার অপেক্ষায় আছি।’

এই ঘটনায় আবারও সামনে চলে এসেছে ক্রিকেটের পুরনো কিছু কলঙ্কিত অধ্যায়। ১৯৮৭ সালে ইয়ান বোথামের গাঁজা কেলেঙ্কারি দিয়ে শুরু হয়েছিল ক্রিকেটে মাদকের সঙ্গে যুদ্ধ। পরে ২০০৩ সালে শেন ওয়ার্ন কোকেন সেবনের দায়ে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন বিশ্বকাপের মাঝপথেই। তাঁর অতীত জড়িয়ে ছিল নাইট লাইফ, সিগারেট ও নানা বিতর্কে। তবে তিনি রিহ্যাবে গিয়ে মাদকমুক্ত জীবন ফিরে পেয়েছিলেন।

২০০৬ সালে পাকিস্তানের দুই তারকা শোয়েব আকতার ও মোহাম্মদ আসিফ নিষিদ্ধ হন স্টেরয়েড সেবনের কারণে। শোয়েব ফিরে আসলেও আসিফ বারবার মাদকে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৭ সালে দুবাই বিমানবন্দরে তাঁকে আবার ধরা হয়।

নিউজিল্যান্ডের ডগ ব্রেসওয়েল ২০২3 সালে কোকেন সেবনের দায়ে তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ হন। সেই তালিকায় এখন সর্বশেষ সংযোজন রাবাদা।

ইউএ / টিডিএস

You may also like