শচীন টেন্ডুলকারের নামের পাশে প্রতিভা মেলানোর প্রসঙ্গে বহুবারই আলোচনায় এসেছেন শুভমান গিল। এমনকি শচীনের কন্যার সঙ্গে শুভমানের সম্পর্ক নিয়েও বহু গুঞ্জন শোনা গেছে। তবে এবার মাঠে একেবারে ভিন্ন এক প্রসঙ্গে জড়িয়ে গেলো দুজনের নাম—একটি বিব্রতকর রেকর্ডে।
মঙ্গলবার (৬ মে) মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ওয়াংখেড়েতে খেলতে নামে গুজরাট টাইটান্স। বৃষ্টিবিঘ্নিত এই ম্যাচে গুজরাটের লক্ষ্য ছিল ১৯ ওভারে ১৪৭ রান। তবে গুজরাট অধিনায়ক গিল ব্যাট হাতে খেলেন অত্যন্ত মন্থর এক ইনিংস—৪৬ বলে ৪৩ রান।
এই ইনিংসই গিলকে বসিয়ে দিয়েছে এক বিব্রতকর তালিকায় যেখানে আগে ছিলেন শুধু শচীন টেন্ডুলকার। আইপিএল ইতিহাসে যেকোনো অধিনায়কের অন্তত ৪০ রানের ইনিংসে স্ট্রাইকরেট ১০০-এর নিচে ছিল মোটে তিনবার। দুইবার করেছেন শচীন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন গিল।
২০০৮ আইপিএলের উদ্বোধনী আসরে ব্যাঙ্গালোরের বিপক্ষে ৪৩ বলে ৪০ রান করেছিলেন শচীন (স্ট্রাইকরেট ৯৩.০২)। এরপর ২০১১ সালে দিল্লির বিপক্ষে করেছিলেন ৫০ বলে ৪৬ রান (স্ট্রাইকরেট ৯২)। আর গিল গতকাল আউট হয়েছেন ৪৬ বলে ৪৩ রান করে স্ট্রাইকরেট ছিল ৯৩।৪৭।
আইপিএলে অধিনায়ক হিসেবে অন্তত ৪০ রান করেও ১০০-এর নিচে স্ট্রাইকরেটে ইনিংস খেলার নজির আছে মাত্র তিনবার—সবক’টি রেকর্ডই গড়ে দিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার ও শুভমান গিল। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার এই ধীরগতির ইনিংসগুলো দলকে হারতে দেয়নি একবারও।
শচীন এই ধরনের ইনিংস খেলেছেন দুইবার। ২০০৮ সালে ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪৩ বলে ৪০ রান এবং ২০১১ সালে দিল্লির বিপক্ষে ৫০ বলে ৪৬ রান। গিলের ইনিংসটি এসেছে চলতি আসরে—মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ৪৬ বলে ৪৩ রানে।
তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো—এই ধীরগতির ইনিংসগুলোর একটিও ম্যাচের পরাজয়ের কারণ হয়নি। ২০১১ সালে মুম্বাই জয় পায় ৮ উইকেট ও ১৯ বল হাতে রেখে। ২০০৮ সালে মুম্বাই জেতে ২ ওভার হাতে রেখে, মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে।
আর গিলের ২০২৫ সালের ইনিংস? গুজরাট টাইটান্স জেতে একেবারে শেষ বলে। আর এই জয়েই দলটি উঠে যায় আইপিএল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।
ইউএ / টিডিএস