টপ অর্ডার নিয়ে এখনো দুশ্চিন্তা

দল জিতলে অনেক সময় পারফরম্যান্সের খুঁতগুলো আড়ালেই থেকে যায়। সিলেটে হারের পর চট্টগ্রামে ইনিংস ব্যবধানে জয় পাওয়ায় অনেকেই আর বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনা করতে চান না। তবে সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন সেই তালিকায় নেই।

তার স্পষ্ট মূল্যায়ন—চট্টগ্রামে বড় জয় এলেও দলের টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যাটিং এখনো সন্তোষজনক নয়। জাগো নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “টপ অর্ডারের ব্যাটিং ভালো হয়নি। প্রথম টেস্টে একদমই না, আর দ্বিতীয় টেস্টেও শুধু সাদমানই সেঞ্চুরি করেছে। টপ ফাইভ ব্যাটারদের মধ্যে আর কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেনি। মিরাজের সেঞ্চুরিটা এসেছে সাত নম্বরে নেমে।”

তিনি আরও বলেন, “ওপেনার সাদমান ছাড়া প্রথম ৬ ব্যাটারের কেউই বড় রান করতে পারেনি। এনামুল হক বিজয় (৩৯), মুমিনুল হক (৩৩), শান্ত (২৩), মুশফিক (৪০), জাকের (৫)—এদের কেউ সেট হয়ে বড় ইনিংস খেলতে পারেনি। অথচ সুযোগ ছিল।”

হাবিবুল বাশার অতীতের উদাহরণ টেনে স্মরণ করিয়ে দেন, “পাকিস্তান সিরিজে জিতলেও রান করেছিলেন মিডল ও লোয়ার অর্ডার। মিরাজ দু’টি টেস্টেই বড় ফিফটি করেছিল। ভারতের সাথেও একই চিত্র ছিল। এমনকি জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধেও প্রথম টেস্টে টপ অর্ডার রান করতে পারেনি।”

টেস্টে টপ অর্ডারের ভূমিকা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “প্রথম ইনিংসে ভালো ব্যাটিং না হলে পুরো ম্যাচেই দল পিছিয়ে পড়ে। যেহেতু প্রথম ইনিংসে ম্যাচের মোড় অনেকটা নির্ধারিত হয়ে যায়, সেখানে প্রথম পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে অন্তত দুজনের কাছ থেকে বড় ইনিংস দরকার।”

শেষে হাবিবুল বাশার বলেন, “আমরা প্রথম টেস্ট হেরেছি মূলত টপ অর্ডারের ব্যর্থতায়। তারা যদি রান করত, হয়তো সিলেটেও জয় আসত।”

এই বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, জয় এলেও বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ইউনিটের ভিত এখনো মজবুত নয়—বিশেষ করে শুরুর দিকের ব্যাটারদের ব্যর্থতা দলের জন্য চিন্তার কারণ।

You may also like