চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে মেডিকেল ছাড়পত্র না পাওয়ায় আসন্ন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তান সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজে থাকছেন না পেসার তাসকিন আহমেদ। তার অনুপস্থিতিতে দলে ফিরেছেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম।
মে মাসে দুটি পর্বে ভাগ হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলবে বাংলাদেশ। প্রথম ধাপে ১৭ ও ১৯ মে শারজাহতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। এরপর মে মাসের শেষদিকে শুরু হবে পাঁচ ম্যাচের পাকিস্তান সফর। ফয়সালাবাদে প্রথম দুই ম্যাচ ২৫ ও ২৭ মে, বাকি তিনটি ম্যাচ রাওয়ালপিন্ডিতে ৩০ মে, ১ জুন ও ৩ জুন অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার (৪ মে) বিকেলে দুই সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দলে থাকা না থাকা নিয়ে জল্পনা চলছিল নাজমুল হোসেন শান্তকে ঘিরে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শেষ ১৮ ইনিংসে কোনো ফিফটি নেই, স্ট্রাইক রেটও ১১০-এর নিচে। বিশ্বকাপেও ছিলেন ব্যর্থ। তবুও নির্বাচকদের আস্থা ধরে রেখেছেন তিনি থাকছেন দুই সিরিজেই।
অধিনায়কত্ব নিয়ে পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি চূড়ান্ত হয়নি। শান্ত নিজেই বোর্ড সভাপতির কাছে অনুরোধ করেছিলেন টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব থেকে সরে যাওয়ার। বোর্ড সূত্র জানায়, যদি ফিট থাকেন তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত সিরিজ থেকেই নেতৃত্বে ফিরবেন লিটন কুমার দাস। তাকেই ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে লিটন না খেললে নেতৃত্বে দেখা যেতে পারে মেহেদী হাসান মিরাজ বা তাওহীদ হৃদয়কে। হৃদয় স্কোয়াডে ফিরলে বাদ পড়বেন আফিফ হোসেন।
স্পিন বিভাগে চারজন আছেন—মিরাজ, নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদী ও রিশাদ হোসেন। পেস বিভাগে মুস্তাফিজুর রহমান, নাহিদ রানা ও তানজিম হাসান সাকিবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন শরিফুল ইসলাম।
দুই সিরিজের জন্য বাংলাদেশের সম্ভাব্য টি২০ দল: লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তানজিম হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলী, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, তাওহীদ হৃদয়, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, মুস্তাফিজুর রহমান ও নাহিদ রানা।
ইউএ / টিডিএস