টরেন্টোর বাংলাদেশ হাই কমিশনের কনস্যুলার অফিসে বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন সামিত সোম। অফিসের কর্মকর্তারা আন্তরিকতার সঙ্গে দ্রুততার মধ্যে সম্পন্ন করেছেন তার বায়োমেট্রিক, ছবি তোলা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে ক্রীড়া সাংবাদিকতা করে বর্তমানে কানাডা প্রবাসী আবু সাদাত সামিতের পাসপোর্ট প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে উপস্থিত ছিলেন কনস্যুলার অফিসে। তিনি বলেন, “কানাডায় সামিতের আবেদন সম্পন্ন হয়েছে। এখন আবেদনটি বাংলাদেশে যাবে সেখান থেকে পাসপোর্ট প্রিন্ট হয়ে আবার কানাডায় পাঠানো হবে।”
সামিত সোম কানাডা জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে খেলেছেন। কিন্তু ১১ এপ্রিল তিনি বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তার সেই আগ্রহের ভিত্তিতে বাফুফে (বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন) তার জন্মনিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করে। জন্মনিবন্ধনের এক সপ্তাহের মধ্যেই সামিত পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন।
পাসপোর্ট আবেদন শেষে টরেন্টোতে ক্লাবের ম্যাচ খেলতে নামবেন সামিত।
এদিকে সামিতের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে বাফুফে ইতোমধ্যে কানাডা ফুটবল ফেডারেশনের কাছে ছাড়পত্র চেয়েছিল। সেই অনাপত্তিপত্র হাতে পেয়েছে তারা। এখন পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্টস সংযুক্ত করে ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির কাছে আবেদন জানাবে বাফুফে। অনুমোদন পেলে সামিত বাংলাদেশের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ফুটবলে মাঠে নামতে পারবেন।
তবে সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ১০ জুন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ম্যাচ রয়েছে। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, কোনো খেলোয়াড়কে ম্যাচের অন্তত সাত দিন আগে এএফসি পোর্টালে নিবন্ধন করতে হয়। অর্থাৎ ৩ জুনের মধ্যেই সামিতের ফিফা ক্লিয়ারেন্স সম্পন্ন হওয়া আবশ্যক।
হামজা চৌধুরির ক্ষেত্রে ফিফার অনুমোদন পেতে চার মাস সময় লেগেছিল। তাই এবার সময়মতো প্রক্রিয়া শেষ করতে বাফুফে কাজ করছে দ্রুতগতিতে।
ইউএ / টিডিএস