মাত্রই শেষ হওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজটি ছিল আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বাইরে, বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত একটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। সিলেটে প্রথম টেস্টে বাজে পারফরম্যান্সের পর চট্টগ্রামে ইনিংস ও ১০৬ রানে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে এই সিরিজের পরেই মনোযোগ এখন টি-টোয়েন্টিতে।
আসন্ন এশিয়া কাপ ও ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে এখন থেকেই প্রস্তুতির কাজ শুরু করছে বাংলাদেশ দল। চলতি মাস থেকেই সেই প্রস্তুতি শুরু হবে। ইতিমধ্যে পাকিস্তান সফরের চূড়ান্ত সূচি ঘোষণা করা হয়েছে, পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতও বাংলাদেশকে নিয়ে দুই ম্যাচের একটি সিরিজের সূচি দিয়েছে। আগামী ১৭ ও ১৯ মে শারজাহে দুটি ম্যাচ খেলার পর শান্তরা সরাসরি চলে যাবেন পাকিস্তানে, যেখানে লাহোর ও ফয়সালাবাদে খেলবেন পাঁচ ম্যাচের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
এরপর জুন-জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে বাংলাদেশ। সেখানে তিনটি টি-টোয়েন্টি ও তিন ম্যাচের একটি ওয়ানডে সিরিজ খেলার কথা রয়েছে। সেই সফর শেষে পাকিস্তান আবার বাংলাদেশে এসে খেলবে আরও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এই হোম সিরিজটি চূড়ান্ত হয়েছে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ ও পাকিস্তান বোর্ডের আলোচনার মাধ্যমে।
২০২৪ সালে এরই মধ্যে ২৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, যা এক পঞ্জিকাবর্ষে দেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক ম্যাচ খেলার রেকর্ড। তবে বড় দুটি টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে যত বেশি ম্যাচ খেলা যায়, সেটাই চায় দল।
এশিয়া কাপের আগে বাকি সময়ে বাংলাদেশ ১৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা করেছে—এর মধ্যে আরব আমিরাতের সঙ্গে ২টি, পাকিস্তানের সঙ্গে হোম-অ্যাওয়ে মিলিয়ে ৮টি, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ৩টি এবং ভারতের সঙ্গে সম্ভাব্য ৩টি ম্যাচ রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফীস।
তিনি বলেন, ‘এশিয়া কাপের আগে ১৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলব আমরা। এ ছাড়া এশিয়া কাপের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের মাটিতে আরও ৬টি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা আছে। যদিও সূচিগুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি, তবে আশা করছি সময়মতো সবকিছু হবে।’
এই পাঁচটি সিরিজ বাংলাদেশের জন্য শুধু প্রস্তুতির সুযোগই নয়, সম্ভাব্য স্কোয়াড গঠনের ক্ষেত্রেও বড় পরীক্ষা। নির্বাচকরা বলছেন, যত বেশি ম্যাচ, তত বেশি বিকল্প পরীক্ষা করা যাবে।
প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, ‘চট্টগ্রামে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। নিউজিল্যান্ড “এ” দলের বিপক্ষে আমরা একটি শক্তিশালী দল গড়ার চেষ্টা করেছি। সামনে অনেক খেলা, তাই এখনই ভারসাম্যপূর্ণ দল তৈরি জরুরি। সিনিয়ররা না থাকলে তরুণদেরই সুযোগ নিতে হবে। পারভেজ হোসেন ইমন ও শামীম পাটোয়ারীর মতো তরুণরা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করছে, এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুযোগ দিতে হবে।’
তিনি আরও জানান, ‘বর্তমানে দেশে দক্ষিণ আফ্রিকার হাই পারফরম্যান্স দল ও নিউজিল্যান্ড “এ” দলের সঙ্গে দুটি সিরিজ চলছে। আমি সিলেট যাব ম্যাচ দেখতে, এরপর রাজশাহীতে এইচপি দলের ম্যাচ দেখব। এখন আমরা প্রতিটি খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’