২০২৩ সালের জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার জাতীয় দলের টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পান পেসার মুশফিক হাসান। তবে সেই সময় লাল সবুজের জার্সিতে অভিষেক হয়নি তরুণ এই পেসারের। এরপর ২০২৪ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও ছিলেন মুশফিক, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সিরিজ শুরুর আগেই ইনজুরিতে পড়ে মাঠের বাইরে চলে যান।
এরপর আর জাতীয় দলের স্কোয়াডে সুযোগ পাননি মুশফিক। ফলে এখনও পর্যন্ত তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়নি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলছেন, আর ইনজুরির সাথে লড়াইও করে যাচ্ছেন। গত বিপিএল শুরুতে ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি, কিন্তু পরে খুলনা টাইগার্সে যোগ দিয়ে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দেন।
সাম্প্রতিক ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) শেষ হওয়া পর মুশফিক আবারও ঊরুর ইনজুরিতে পড়েন, ফলে মোহামেডানের হয়ে আর মাঠে নামা হয়নি। এখন নিয়মিত চোট পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
নিজের চোট নিয়ে মুশফিক ঢাকা পোস্টকে বলেছেন, “আগের চেয়ে ভালো আছি। অপেক্ষায় রয়েছি দ্রুত মাঠে ফেরার। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।” বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, মুশফিককে মাঠে ফিরতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
লাল সবুজের জার্সিতে অভিষেকের খুব কাছে গিয়ে সেটি পূর্ণ না হওয়া মুশফিকের জন্য দুঃখজনক। ইনজুরি থেকে ফিরে নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে তাকে। তবে ক্রিকেটারদের জন্য মন খারাপ করা বিষয় নয়, বিশেষত পেস বোলারদের জন্য তো ইনজুরি প্রায় প্রতিদিনের সঙ্গী। তবুও, অভিষেকের কাছাকাছি পৌঁছে তা পূর্ণ করতে না পারার জন্য হয়তো মুশফিকের কিছুটা আফসোস থাকতেই পারে।