বল হাতে রশিদের অপ্রত্যাশিত তেতো অভিজ্ঞতা

রশিদ খান, যিনি রেওরিতে বল হাতে একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য পরিচিত, চলতি আইপিএলে যেন অনেকটাই নির্বিষ। তাঁর ঘূর্ণি জাদু যা অনেক ম্যাচেই ক্রিকেটপ্রেমীদের মন মাতিয়েছে, এবারের আসরে তা দেখা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই তিনি রান বিলাচ্ছেন, আর তার ফলস্বরূপ উইকেটও পাচ্ছেন কম। তবে গতকাল গুজরাট টাইটানস যখন সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৮ রানে হারায়, দল জিতলেও রশিদের জন্য ছিল একটি তেতো অভিজ্ঞতা, যা আগে কখনও হয়নি।

ম্যাচে রশিদ ৩ ওভার বোলিং করেন এবং ৫০ রান দিয়ে ফেলেন। প্রথম ওভারে দুই ছক্কা হজম করে দেন ১৫ রান। পরের ওভারে একটি ছক্কা ও চারে ১৪ রান দেন। প্রথম দুই ওভারেই তিনি ২৯ রান দেন। তৃতীয় ওভারেও দুর্দশা কম হয়নি, তবে তখন পর্যন্ত ম্যাচ গুজরাটের পক্ষে নির্ধারিত হয়ে গেছে। শেষ ওভারে তিনটি ছক্কা হজম করেন এবং ২১ রান দেন। মোট তিন ওভারে তিনি ৫০ রান দেন, যা তার ৪৭২ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো এমন ভয়াবহ অভিজ্ঞতা।

২০২৫ আইপিএলে রশিদ ১০ ম্যাচে ২৫.৫ ওভার বোলিং করেছেন। বেশিরভাগ ম্যাচে ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ না করলেও, তার উইকেট সংখ্যা ৭টি। তার বোলিং গড় ৫০.২৮ এবং ইকোনমি ৯.৫১, যা আইপিএলে তার বিবর্ণ পারফরম্যান্সের ইঙ্গিত দেয়। এবারের আইপিএলে এক ম্যাচে রশিদ ওভারপ্রতি ১৬.৬৬ রান দিয়েছেন, যা তার ১০ বছরের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে একেবারে নজিরবিহীন।

গত আইপিএলে গুজরাটের হয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ১.৪ ওভারে ২৫ রান দেওয়ার রেকর্ড ছিল। তবে এবারের আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচে ছয়টি ছক্কা হজম করেছেন রশিদ। এমন ঘটনা তার ক্যারিয়ারে দুটি ম্যাচে ঘটেছিল, ২০১৮ আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৫৫ রান ও ২০২৩ এসএ টোয়েন্টিতে সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৫৩ রান দেওয়ার ঘটনা। এসব ম্যাচে সাতটি করে ছক্কা হজম করেছিলেন তিনি।

You may also like