ছয় মাসে ২১ ম্যাচের টানা লড়াই

স্পোর্টস ডেস্ক

নিয়োগ পাওয়ার পর ২০২৪ সালে নাভিদ নেওয়াজ দলের গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেন এবং প্রথমে বড় স্কোয়াড নিয়ে কাজ শুরু করে পরে সেটি সীমিত করেন। ৯ মাস ধরে দলের প্রস্তুতি শেষে এখন বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন কোচ নাভিদ নেওয়াজ। আগামী মাস থেকে তারা ম্যাচ খেলায় মনোযোগী হবেন, এবং বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল আগামী ছয় মাসে ২১টি ম্যাচ খেলবে। এই ম্যাচগুলো বিদেশে, দ্বিপক্ষীয় এবং ত্রিদেশীয় সিরিজের অংশ হিসেবে হবে। শ্রীলঙ্কা দিয়ে শুরু হয়ে শেষ হবে ইংল্যান্ডে।

বিসিবি গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ম্যানেজার আবু ইমান মো. কাউসার জানিয়েছেন, ২১ এপ্রিল বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে, যেখানে ছয় ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। সব ম্যাচ হাম্বানটোটায় অনুষ্ঠিত হবে। শ্রীলঙ্কা সফর শেষে, বাংলাদেশ দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের প্রস্তুতি নেবে। জুলাই মাসে জুনিয়র প্রোটিয়াদের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ এবং তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সিরিজগুলো বেনুনী ও প্রিটোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশ জিম্বাবুয়েতে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে।

কাউসার আরও জানিয়েছেন, “২০২৬ সালের বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় জিম্বাবুয়ের মতো কন্ডিশনের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে উপযুক্ত জায়গা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আমরা আশা করি, দক্ষিণ আফ্রিকায় ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ ভালো খেলা উপহার দিতে পারবে।” জুলাই-আগস্টের সিরিজ শেষে, ইংল্যান্ডে একটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ এবং ত্রিদেশীয় সিরিজের সম্ভাবনা রয়েছে, যা ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড আয়োজন করতে পারে।

সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ড যুবাদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এই সিরিজ শেষে, এশিয়া কাপের প্রস্তুতি শুরু হবে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই টানা দুইবার এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, এবং কোচ নাভিদ মনে করেন, বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে ভালো খেলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ পরে খুব বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলানোর সুযোগ থাকবে না।

কাউসার জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের মাটিতে একটি সিরিজ খেলার পরিকল্পনা রয়েছে, এবং সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে। ২০২০ সালের বিশ্বকাপের সাফল্যের পর, এবারের দলটি শক্তিশালী এবং আশা করা হচ্ছে তারা ২০২০ সালের দলের মতোই ভালো করবে।

২০২০ সালে শিরোপা জেতার পর বাংলাদেশের তরুণরা পরবর্তী দুটি বিশ্বকাপে ভালো করতে পারেনি, কারণ তখন তাদের খেলোয়াড়ের মান প্রয়োজনীয় স্তরে ছিল না। তবে এবারের দল শক্তিশালী, যেখানে ব্যাটিং এবং বোলিং বিভাগ শক্তিশালী। দলে রয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন মতো পেস বোলার, যিনি বিপিএল ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের পরিণত করেছেন এবং প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে।

You may also like