কানাডা জাতীয় দলের হয়ে খেলা সামিত সোম এখন বাংলাদেশে খেলতে আগ্রহী। তাকে জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করতে প্রায় তিন সপ্তাহ আগে থেকেই প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
বৃহস্পতিবার (১ লা মে) বাংলাদেশ সময় আজ সকালে সেই অনাপত্তিপত্র হাতে পেয়েছে বাফুফে। প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ছিল কানাডা ফুটবল ফেডারেশনের অনাপত্তিপত্র।
সামিত সোমের বিষয়ে বাফুফের পক্ষে দেখভাল করছেন সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম। তিনি বলেন, ‘আজ সকালে আমরা কানাডা ফুটবল ফেডারেশনের চিঠি পেয়েছি। সামিত কানাডা জাতীয় দলের হয়ে দুই ম্যাচে কত মিনিট, কোন প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলেছেন এর সম্পূর্ণ বিবরণ রয়েছে। আগামীকাল সামিতের পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার কথা। পাসপোর্ট হওয়ার পর আমরা ফিফায় আবেদন করব। ১০ জুন ঢাকায় ম্যাচ খেলানোর জন্য বাফুফে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।’
অন্য দেশের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা থাকা কিংবা ভিন্ন দেশে জন্মগ্রহণ করা ফুটবলারকে জাতীয় দলে খেলাতে হলে নানা আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে পাসপোর্ট প্রাপ্তি। যেমন, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর ক্ষেত্রে বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাওয়ার পর ইংল্যান্ড ফুটবল ফেডারেশনের কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র নিয়েছিল বাফুফে। তবে সামিত সোমের ক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম হয়েছে। এখনো তার পাসপোর্ট না হলেও জন্ম নিবন্ধনের ভিত্তিতে আগেভাগেই কানাডা ফুটবল ফেডারেশনের কাছে অনাপত্তিপত্র চেয়ে আবেদন করেছিল বাফুফে।
সামিতের প্রক্রিয়া নিয়ে ফাহাদ করিম বলেন, ‘সাধারণত পাসপোর্টের পরই ঐ দেশের অনাপত্তিপত্র আবেদন করা হয়। সামিত যেহেতু আর কানাডার হয়ে খেলবেন না বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চান। তার এই সিদ্ধান্ত যেহেতু চূড়ান্ত তাই পাসপোর্টের জন্য অপেক্ষা না করে সামিতের বাংলাদেশের হয়ে খেলার ডিক্লেয়ারেশন ও জন্ম নিবন্ধন কাগজ দিয়ে আমরা আবেদন করি। কানাডার ফেডারেশনে মেইল করার পর আমরা সুনির্দিষ্ট ব্যক্তি/বিভাগের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করি। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের পর আশা করছিলাম আগামী সোম-মঙ্গলবার পেতে পারি। আজ সকালেই পেলাম।’
সামিত সোমের বাংলাদেশি পাসপোর্ট প্রস্তুতের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং কানাডায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশন বিষয়টি দ্রুত সম্পন্ন করতে প্রস্তুত। বাফুফে আশাবাদী, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সামিতের পাসপোর্ট হাতে চলে আসবে। পাসপোর্ট পাওয়ার পর কানাডা ফুটবল ফেডারেশনের অনাপত্তিপত্র, সামিত ও তার পরিবারের বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির কাছে আবেদন করবে বাফুফে।
এই আবেদন মঞ্জুর হলে সামিতের বাংলাদেশের জাতীয় দলের হয়ে খেলার আর কোনো বাধা থাকবে না।
আগামী ১০ জুন ঢাকায় এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে সিঙ্গাপুর। ওই ম্যাচের খেলোয়াড় নিবন্ধনের শেষ সময় ৩ জুন। তাই ফিফা যদি ২ জুনের মধ্যে সবুজ সংকেত দেয় তাহলে সামিতকে এই ম্যাচের স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে বাংলাদেশ।
উল্লেখযোগ্য, একই প্রক্রিয়ায় হামজা চৌধুরীর ক্ষেত্রে ফিফা তিন মাসেরও বেশি সময় নিয়েছিল। এবার সামিতের ক্ষেত্রে কত দ্রুত সিদ্ধান্ত আসে সেটিই এখন দেখার বিষয়।
ইউএ / টিডিএস