গত মাসে সমীকরণ মেলানোর মাধ্যমে আসন্ন নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। ছয় দলের অংশগ্রহণে হওয়া বাছাইপর্বে স্বাগতিক পাকিস্তানের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। তবে ওয়ানডেতে মাঝে মধ্যেই ঝলক দেখানো বাংলাদেশের মেয়েরা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে রয়েছে আরও পিছিয়ে, যার প্রতিফলন দেখা গেল আইসিসির হালনাগাদ র্যাঙ্কিংয়ে। নতুন তালিকায় আইরিশদের কাছে জায়গা হারিয়ে এক ধাপ নিচে নেমে গেছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার প্রকাশিত মেয়েদের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের নতুন র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ আট দলের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন না থাকলেও নবম ও দশম অবস্থানে এসেছে রদবদল। যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান রয়েছে আগের জায়গায়। তবে নবম স্থানে উঠে এসেছে আয়ারল্যান্ড, আর বাংলাদেশ নেমে গেছে দশম স্থানে।
আইসিসি জানায়, ২০২২ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের ৫০ শতাংশ এবং তার পর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সব ম্যাচ বিবেচনায় র্যাঙ্কিং করা হয়েছে। এই সময়ে বাংলাদেশ নারী দল ৯টি দ্বিপক্ষীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে, যার মধ্যে জয় এসেছে মাত্র একটিতে—পাকিস্তানের বিপক্ষে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটি সিরিজ ড্র হলেও বাকি সাত সিরিজেই হেরেছে জ্যোতির দল।
সবচেয়ে হতাশাজনক ছিল ঘরের মাঠে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আয়ারল্যান্ডের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হওয়া। এরপর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েও কোনো সাফল্য পায়নি দলটি; তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে সেখানে আবারও হোয়াইটওয়াশের শিকার হয় বাংলাদেশ।
এই ধারাবাহিক ব্যর্থতাই প্রভাব ফেলেছে টি-টোয়েন্টির সর্বশেষ র্যাঙ্কিংয়ে।
বর্তমানে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের ১১ থেকে ১৫তম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে থাইল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি, জিম্বাবুয়ে ও নেদারল্যান্ডস। ১৬ নম্বরে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যারা এবার নতুন করে ওয়ানডে মর্যাদা পেয়েছে। সহযোগী সদস্য হিসেবে তাদের সঙ্গে আরও রয়েছে থাইল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি ও নেদারল্যান্ডস। তাদের জায়গা করে দিতে ওয়ানডে স্ট্যাটাস হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।